Rangamatti |
রাঙ্গামাটি; পার্বত্য এ জেলা শহরটি পর্যটকদের পদচারণায় প্রায় সময়ই মুখরিত থাকে। ভ্রমণ বিলাসী ও সৌন্দর্য্য পিপাসু বহু বর্ণিল অসংখ্য মানুদের উপচেপড়া ভিড় জমে থাকে গোটা রাঙ্গামাটি শহরজুড়ে। এ জেলার নয়নাভিরাম সুবিশাল কাপ্তাই হ্রদ, অসংখ্য পাহাড়, পাহাড়ী ঝর্ণা, সুবলংয়ের মনোরম জলপ্রপাত, পর্যটক আকর্ষণীয় এলাকা, ঝুলন- ব্রীজ, ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী, রাজবন বিহার, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানসহ অসংখ্য দর্শনীয় স'ান যা পর্যটকদের উপভোগ্য। ফি বছরই ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যকটরা ভীঁড় জমায় পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে। বিশেষ করে বিদেশী পর্যটকদের আগমনও লক্ষ্যনীয়। যদিও বর্তমানে নিরাপত্তার কারণে অবাধে বিচারণ করতে চাইছেন না অনেক দেশী বিদেশীরা। খাগড়াছড়ি সড়কের গুনিয়াপাড়া থেকে বিদেশী অপহরণের ঘটনায় অনেকের মনেই অজানা বিরাজ করছে।
গোটা শুষ্ক মৌসুমটাই হচ্ছে রাঙ্গামাটি বেড়াতে নিরাপদ সময়। এখানে রয়েছে আনন্দ-উল্লাস তথা ভ্রমণ বিলাসে মেতে উঠার মত বিভিন্ন স্পট, রয়েছে উসৎসবের আমেজ আর দৃষ্টি নন্দন প্রাকৃতিক পরিবেশ। তাই প্রতি বছর বর্ষা শেষেই ভ্রমণ পিয়াসী দেশী বিদেশী পর্যটকরা ভিড় জমান রাঙ্গামাটির এই পার্বত্য জেলায়। প্রায় ৫মাস এখানে ভীঁড় জমে থাকে। বসনে-র উসৎবে মেতে উঠতে রাঙামাটির প্রাকৃতিক পরিবেশ দুনিয়ার আর কোথাও নেই! তাই যে কেউ স্বপরিবারে, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বেড়াতে পারেন পর্যটন শহর এ পার্বত্য জেলা শহরটি। জীবনে অন-ত একবার হলেও আসুন এবং ঘুরে বেড়িয়ে যান নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রকৃতির নিজ হাতে সাজানো পার্বত্য শহর রাঙ্গামাটি।
যেভাবে যাবেন :
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি যেতে সরাসরি চালু রয়েছে সৌদিয়া, চ্যালেঞ্জার, ডলফিন, এস. আলমসহ বিলাসবহুল বাস সার্ভিস। ঢাকার সায়েদাবাদ, কমলাপুর, ফকিরাপুল, মতিঝিল, কলাবাগান প্রতিদিন এমনকি রাতেও ছাড়ে বাসগুলো। চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া যায় খুব সহজে। চট্টগ্রামের মুরাদপুরস' বিশ্বরোডে আছে রাঙ্গামাটির প্রধান বাস ষ্টেশন। যেখান থেকে ছাড়ে বিআরটিসি এবং বিরতিহীন বাস সার্ভিস সমূহ। সৌদিয়া, এস আলম ও চ্যালেঞ্জার বাস পাওয়া যায় চট্টগ্রামের কেসি দে রোড থেকেও। চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটির যেকোন বাসের ভাড়া ১০০ টাকা।
চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে বাসে চড়ার সময় বেতবুনিয়ায় পা বাড়ালেই রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। এ বেতবুনিয়ায় দেশের সর্বপ্রথম উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রটি অবসি'ত। এরপর রানীরহাট বাজার অতিক্রম করে সামনের দিকে তাকালে চোখে পড়বে সুউচ্চ অসংখ্য পাহাড়ের সারি। সামনের দিকে এবং দক্ষিণ-পূর্বে দন্ডায়মান অবস'ায় সবচেয়ে উচু যে পাহাড়টি চোখে পড়বে সেটি ফুরমোন পাহাড়।
যেখানে যেখানে যাবেন :
শহরে বেড়ানো ও দেখার মতো অনেক জায়গা স'াপনা, নির্দশন আছে। এগুলোর মধ্যে কাপ্তাই লেক ভ্রমন, পর্যটন মোটেল, ডিসি বাংলো, ঝুলন- ব্রিজ, পেদা টিংটিং, সুবলং ঝর্না, রাজবাড়ি, রাজবন বিহার, উপজাতীয় জাদুঘর, কাপ্তাই হাইড্রো ইলেক্ট্রিক প্রজেক্ট, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে দূরে কোথাও গেলে সন্ধ্যার আগে ফেরা উচিত।