Intel Processor Diagnostic Software


The Intel Processor Diagnostic software is designed to verify the functionality of an Intel microprocessor by checking brand identification, verifies the processor operating frequency, tests specific processor features and performs stress test on the processor. The Intel Processor Diagnostic Tool (IPDT) users will have the possibility to configure Intel Processor Diagnostic Toll to run in the presence test mode or the verification mode. Additionally, it can be configured to enable (run) or disable (skip) individual default configurations are used for this mode of operation. Intel Processor Diagnostic Tool user guide.

The Intel Processor Diagnostic applies to :
1. Intel Core i3 Desktop and Intel i3 Mobile Processor
2. Intel Core i5 Mobile Processor and Core i5 Processor
3. Intel Core i7 Processor and Core i7 Mobile Processor including their Extreme Edition
4. Intel Core2 Duo Desktop, Mobile and their Extreme Edition
5. Intel Pentium 4, Pentium D, Pentium M Processor and their Extreme Edition.
6. Intel Xeon Processor 300, 5000, 6000, 7000 Sequence
7. Intel Atom Processor
8. Intel Celeron Processor Family
9. Mobile Intel Pentium 4 Processors-M
10. Intel Core Solo and Core2 Solo Processor.

(File size 5.8MB)

(File size 5.8MB)

রামসাগর জাতীয় উদ্যান

বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জাতীয় উদ্যান রামসাগর। উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলা শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবসি'ত জাতীয় এ উদ্যানটি। আকারে ছোট হলেও সৌন্দর্য্য আর বৈচিত্র্যে এ উদ্যানটির তুলনা নেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দিঘি রামসাগরকে ঘিরেই এ উদ্যান।
রামসাগর জাতীয় উদ্যান দিনাজপুরে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে অবসি'ত। দিঘিটির খননকাল ছিল ১৭৫০-১৭৫৫ সাল। সেসময়ে এ অঞ্চলে প্রচণ্ড খরা আর দুর্ভিক্ষ চলছিল। তাই প্রজাদের সেচ সুবিধা, জলকষ্ট দূরীকরণ আর খাদ্যাভাব পূরণের লক্ষ্যে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে রাজা রামনাথ এ দিঘি খনন করেন এবং নিজের নামেই এর নামকরণ করেন। জনশ্রুতি আছে, সে সময় দিঘিটি খনন করতে রাজা রামনাথের ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩০,০০০ টাকা। মূল দিঘি অর্থাৎ জলভাগের দৈর্ঘ্য ১০৩১ মিটার আর প্রস' ৩৬৪ মিটার। তবে পুরো রামসাগর জাতীয় উদ্যানের আয়তন প্রায় ২৭ হেক্টর। রামসাগর বনবিভাগের দায়িত্বে আসে ১৯৬০ সালে। এরপরে ১৯৯৫-৯৬ সালে সরকার এটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল রামসাগর এলাকাকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
রামসাগর দিঘি উত্তর-দক্ষিণে লম্বা আকৃতির। দিঘিটির উত্তরের দিকটি অপেক্ষাকৃত বেশি গভীর। বেশ কয়েকটি পাকা ঘাট থাকলেও প্রধান ঘাটটি পশ্চিম পাড়ের ঠিক মাছ বরাবর অবসি'ত। প্রায় ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬০ ফুট প্রস' এ ঘাটটি দিঘির উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব পাশেও একটি করে ছোট ঘাট রয়েছে। 
দিঘিটির চারপাশে গাছে গাছে ঢাকা ইট বাঁধানো পথ আর ছোট ছোট কয়েকটি টিলা। রামসাগর দিঘির পশ্চিম পাশে ছোট্ট একটি চিড়িয়াখানা আছে। 
দিঘির উত্তর দিকে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত লাল ইটের একটি প্রাচীন স'াপনা দেখা যায়। এটি নিয়ে নানা কথা প্রচলিত আছে স'ানীয়দের কাছে। কারও মতে এটি একটি মন্দির আবার কারও মতে একটি একটি বিশ্রামাগারে। 

নানা করম গাছপালাসমৃদ্ধ জাতীয় এ উদ্যানের দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। শীতে এ জায়গাটি প্রচুর অতিথি পাখির মিলনমেলায় পরিণত হয়।
রামসাগর জাতীয় উদ্যানটি দিনাজপুরের একটি নিরাপদ পর্যটন কেন্দ্র। দেশের বিভিন্ন স'ান থেকে প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী জায়গাটিতে ভ্রমনে আসে। 
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন- খোলা থাকে রামসাগর জাতীয় উদ্যান। এখানে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২টাকা। নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করে গাড়ি নিয়েও জায়গাটিতে প্রবশে করা যায়। রামসাগরে বাহনের প্রবেশ মল্য রিক্‌শা ৫টাকা, কার বা জিপ ৩৫ টাকা, সাধারণ মাইক্রোবাস ৬০ টাকা, বড় মাইক্রোবাস ৭৫ টাকা। নিজস্ব বাহন না থাকলে দিনাজপুর শহরে থেকে ব্যাটারি চালিত রিক্‌শায় রামসাগর আসতে সময় লাগে প্রায় ত্রিশ মিনিট। ভাড়া ১০০-১৫০ টাকা।

কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী বাসগুলো সাধারণ ছাড়ে গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে। এ পথে নাবিল পরিবহনের এসি বাস চলাচল করে। ভাড়া ৯০০ টাকা। এ ছাড়া হানিফ এন্টারপ্রাইজ, এস আর ট্রাভেলস, কেয়া পরিবহন, এস এ পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, নাবিল পরিবহনের নন-এসি বাসও চলাচল করে এ পথে। ভাড়া ৫০০-৫৫০ টাকা। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন-ঃনগর ট্রেন দ্রুতযান এক্সপ্রেস ছাড়ে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। আর আন-ঃনগর একতা এক্সপেস ছাড়ে সকাল ৯টা ৫০মিনিটে। ঢাকা থেকে একতা ও দ্রুতযান এক্সপেস বন্ধ থাকে যথাক্রমে মঙ্গল ও বুধবার। ভাড়া শোভন সিটি ১৮৫ টাকা, শোভন চেয়ার ২৫০, প্রথম শ্রেণী চেয়ার ৩৫০, প্রথম শ্রেণী ব্যর্থ ৫৩৫, এসি চেয়ার ৬১৮, এসি ব্যর্থ ৮৯৭ টাকা। দিনাজপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ছাড়ে সকাল ৮টা ১০মিনিটে আর একতা এক্সপ্রেস ছাড়ে রাত ৯টা ৫০মিনিটে। দিনাজপুর থেকে এমতা ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস বন্ধ থাকে যথাক্রমে সোমবার ও বুধবার।

কোথায় থাকবেন :
রামসাগরে বনবিভাগের একটি বিশ্রামাগার থাকলেও সাধারণ পর্যটকদের সেখানে থাকার ব্যবস'া নেই। রামসাগর ভ্রমণে গেলে তাই থাকতে হবে দিনাজপুর শহরে। দিনাজপুর শহরে থাকার জন্য ভালো মানের হোটেল হচ্ছে পর্যটন মোটেল (০৫৩১-৬৪৭১৮)।ছাড়া ঢাকায় পর্যটনের প্রধান কার্যালয় থেকেও এ 
মোটেলের বুকিং দিতে পারেন। ফোন : ৯৮৯৯২৮৮-৯১। দিনাজপুরের পর্যটন মোটেলে এসি টুইনবেড ১৫০০ টাকা এবং এসি টুইনবেড ডিলাক্স কক্ষ ১৮০০ টাকা। এছাড়া দিনাজপুরের অন্যান্য সাধারণ মানের হোটেলে ১০০-১২০০ টাকায় রাত্রিযাপনের ব্যবস'া আছে। কয়েকটি সাধারণ মানের হোটেল হলো-
মালদহ পট্টিতে-হোটেল ডায়মন্ট, ফোন : ০৫৩১-৬৪৬২৯
নিমতলায়-হোটেল আল রশিদ, ফোন : ০৫৩১-৬৪২৫১
হোটেল নবীন, ফোন : ০৫৩১-৬৪১৭৮
হোটেল রেহানা, ফোন : ০৫৩১-৬৪৪১৪
নিউ হোটেল, ফোন : ০৫৩১-৬৮১২২।

Windows-র সমস্যা দূর করতে Soluto


পিসি’র বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সমাধান করে দ্রুততম সময়ে পিসি ব্রাউজিংয়ের সুবিধা দিতে রয়েছে Soluto। মূলত তিনটি ক্ষেত্রে এটি জোর দিয়ে কাজ করে-বুট টাইম কমানো, ওয়েব ব্রাউজিং গতিশীল করা এবং Program ক্র্যাশ থেকে System কে সুরক্ষিত রাখা। 


Soluto Install করার সাথে সাথেই System একবার Restart দিয়ে নিতে হয়। System Restart দিলেই Soluto  System-র যাবতীয় তথ্য ধারণ করে নেয় নিজের System-র মধ্যে। পরবর্তীতে যেকোন ধরণের কাজের জন্য এই তথ্যগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ থেকেই সে পিসি’র অবস'া নিরূপন করে থাকে। Boot Time কমাতে অর্থাৎ, পিসি চালু করতে যে সময় প্রয়োজন, তা কমাতে এটি পিসি’র Start-Up Program ব্যবস'াপনার কাজটি করে থাকে চমৎকারভাবে। যেসব Start-Up Program পিসি’র Boot Time বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী, সেসব Program কে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিস্ক্রিয় করে দেয়। পরে পিসি চালু হয়ে গেলে এটি আবার প্রয়োজনীয় Program গুলো চালু করে দেয়। কেবল Start-Up Program-ই নয়, পিসিতে রান করা যেকোন ধরণের Program এ কোনো সমস্যা থাকলে সেটিও জানিয়ে দিতে পারে Soluto। তাছাড়া পিসি’র পারফরম্যান্স বাড়িয়ে দিতে যদি কোনো Program Install করার প্রয়োজন হয়, সেটিও Notification-র মাধ্যমে এটি জানিয়ে দিতে সক্ষম। Program বা Software-র ক্ষেত্রেই নয়, Soluto পিসি’র Hardware-র কোনো সমস্যা থাকলে সেটি যথাসময়ে জানিয়ে দেয় এটি। আবার Operating System-র কোনো Update প্রয়োজন হলে সেটিও ব্যবহারকারীর অজানে-ই করে দেয় এই Program। এর মাধ্যমে একইসাথে পাঁচটি পর্যন- পিসি মনিটরিং করার যায়। পিসি’র অনাকাঙ্খিত সব Problem দূর করতে এটি হতে পারে আপনার সহায়। Soluto Link থেকে Download করা যাবে Soluto।

কম্পিউটারের RAM হিসেবে ব্যবহার করুন USB Pen-Drive বা SD Card !!!



USB Pen-Drive বা SD Card কে কম্পিউটারের RAM হিসাবে ব্যবহার করে আপনি আপনার পিসি’র গতি বৃদ্ধি করতে পারবেন।


Windows 7 User-রা খুব সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন Ready boost software দ্বারা। আর এই সফটওয়্যার টি Windows 7-এ দেয়া থাকে।

Windows XP User-রা Ebooster একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে।

Windows 7 Users-এর ক্ষেত্রে :
১. USB Drive-টি লাগান।
২. Speedy Up My System অপশনটি সিলেক্ট করুন।
যদি Auto play Box Open না হয় তাহলে {My Computer-> Right Click on your Flash Drive-> Properties->Choose ReadyboostTab.} সিলেক্ট করুন।
৩. *. Dedicate this device to Ready Boost : This will use entire memory of Flash drive as RAM.
*. Use this Device : Using this you can Reserve space for storing data in USB and the space left will be used as RAM.
৪. OK-দিন।
আপনার USB Drive টি RAM-এ Convert হয়ে গেল।

UNDO করতে (Go to My Computer-> Right Click on your Flash Drive->Properties->Choose ReadyboostTab) & Select "Do not use this Device" in the above step and Click OK.

Windows XP Users এর ক্ষেত্রে :
১. Install Ebooster (http://www.mediafire.com/?l4ymvrmgmfz) Full Version (4.43 MB)
২. Ebooster Open করুন and Detect your USB device and select a option. কতটুকু Memory RAM হিসেবে allocate করতে চান তা Select করুন।
৩. Click OK.
৪. একটা pop window open হবে তারপর "Start Build Cache" Select করুন, কাজ শেষ।
UNDO করতে Select Stop build Cache তারপর Remove করুন।

পেনড্রাইভের ভাইরাস মুক্ত করুন এক ক্লিকেই



পেনড্রাইভ, মেমরী কার্ড সহ যত ইউএসবি ডিভাইস আছে তা আমরা বিভিন্ন পিসি'তে ব্যবহার কলি। ইউএসবি ডিভাইসগুলো Plug & Play হওয়ার কারণে পিসি'তে দেয়া মাত্রই ঐ ইউন্ডোজটি ভাইরাস আক্রান- থাকলে তা সেই ইউএসবি ডিভাইসে ঢুকে পড়ে আমাদের অজানে-। আর ভাইরাসগুলো ইউএসবি'তে থাকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের ক্ষতি করে বসে। তাছাড়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোকে হাইড করে রাখে। এর ফলে ফাইলগুলো আমরা আর আমাদের ইউএসবি ডিভাইসে দেখা যায় না। আর ঐ ইউএসবি ডিভাইসটি যখন অন্য কোন পিসি'তে ব্যবহার করি তখন ভাইরাসগুলো সেই পিসি'তেও ঢুকে পড়ে।

এভাবে ইউএসবি ডিভাইসের মাধ্যমে ভাইরাস আমাদের পিসি'তে ছড়াই। অনেক সময় এন্টিভাইরাসও কিছু কিছু ভাইরাস ধরতে পারে না। তাই আপনারা ঐ নিজেই ঐসব ভাইরাস ইউএসবি ডিভাইস থেকে মুছে ফেলতে পারেন।

প্রথমে Notepad খুলুন। তারপর নিচের কমান্ড লাইনগুলো লিখুন।

ATTRIB -H -A -R -S K:\*.*/S /D
DEL K:\*.LNK
DEL K:\*.VBS
DEL K:\*.CMD
DEL K:\*.BAT
DEL K:\*.INF
DEL K:\*.EXE
DEL K:\*.JS
rd K:\RECYCLER /S /Q
Exit

[উপরের K হল আপনার ইউএসবি ড্রাইভ। তাই প্রত্যেকটা K এর জায়গায় আপনার ইউএসবি ড্রাইভ নাম টি লেখুন]

এবার Ctrl+S চেপে ঈষবধহ Clean USB.bat নামে সেভ করুন ডেক্সটপে বা অন্যকোথাও। ডেক্সটপে রাখলে সুবিধা হলো ইউএসবি দেয়ামাত্রই ঔখান থেকে ওটি রান করাতে পারবেন। আপনার কাজ শেষ। এবার আপনি যেকোন ইউএসবি আপনার পিসি'তে দেয়ার পরই Clean USB.bat ফাইলটি ডাবল ক্লিক করুন। আর অল্পকিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার ইউএসবি'তে থাকা সব হাইড ফাইল শো করবে এবং INF, EXE, VBS সহ যত ভাইরাস আছে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যতক্ষণ কাজ চলবে ততক্ষণ ডসের কালো উইন্ডোটা থাকবে। ওটা চলে গেলে আপনি নিরাপদে আপনার ইউএসবি খুলতে পারবেন।

লক্ষ্য রাখবেন ঃ আপনার কোন EXE সফটওয়ার ইউএসবি'তে খোলা অবস'ায় রাখবেন না। সেটা কোন ফোল্ডারে রাখুন। না হয় উক্ত কমান্ডের কারণে আপনার সফটওয়ারটি ডিলিট হয়ে যাবে। তখন সেটি ফিরে পেতে কষ্ট হবে।

হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান

it
Himsori

বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যানগুলোর মধ্যে হিমছড়ি অন্যতম একটি। কক্সবাজার জেলার হিমছড়িতে জাতীয় উদ্যানটির অবস'ান। পর্যটন শহর কক্সবাজার থেকে এর দুরত্ব মাত্র বারো কিলোমিটার। প্রায় ১৭২৯ হেক্টর বা ১৭.২৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ উদ্যানটি জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। চিরসবুজ পাহাড়ি এ বনাঞ্চলের পরেই রয়েছে দিগনে- মিলিয়ে যাওয়া সমুদ্র। এ ছাড়া এ উদ্যানে আছে ছোট-বড় ককেয়টি পাহাড়ি ঝর্না।
শিক্ষা-গবেষণা, পর্যটন, ভ্রমন, বিনোদন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান। এটি একটি চিরসবুজ ও প্রায়-চিরসবুজ ক্রান-ীয় বৃক্ষের বনাঞ্চল। প্রায় ১১৭ প্রজাতির নানা রকম উদ্ভিদ রয়েছে এ উদ্যানে। এর মধ্যে ৫৮ প্রজাতির বৃক্ষ, ১৫ প্রজাতির গুল্ম, ৪ প্রজাতির তৃণ, ১৯ প্রজাতির লতা এবং ২১ প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদ আছে এ বনে। অতীতে এ বনাঞ্চলে ইশিয়ান হাতির অবাধ বিচরণ থাকলেও এখন আর তেমনটি চোখে পড়ে না। তারপরেও এ দেশে এশিয়ান হাতির যে ক’টি আবাসস'ল আছে হিমছড়ি তাদের একটি। এ উদ্যানে প্রায় ৫৫ প্রজাতির স-ন্যপায়ী, ১৬ প্রজাতির উভচর এবং ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপের সন্ধান মিলেছে। এশিয়ান হাতি ছাড়াও এ বনে দেখা মেলে লালমুখ বানর, মায়া হরিণ, বন্যশুকর, উল্লুক ইত্যাদি। 
পাখিপ্রেমীদের জন্য হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। এ উদ্যানে প্রায় ২৮৬ প্রজাতির পাখির সন্ধান মিলেছে। এ বনের উল্লেখযোগ্য পাখি হলো ফিঙে, ময়না, তাল বাতাসি ইত্যাদি। 
কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে হিমছড়ির দিকে চলতে দু’তিনটি জায়গা থেকে সহজে এ উদ্যানে প্রবশে করা যায়। প্রথম জায়গাটি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পরে দরিয়ানগর। এ জায়গাটি থেকে প্রবেশ করলে বনের মধ্যে একটি পাহাড়ি সুড়ঙ্গ, ছোট্ট একটি ছড়া দেখা যায়। এ ছাড়া এ জায়গা থেকে পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে একদিকে জঙ্গল আরেকদিক বিস-ীর্ণ সমুদ্র চোখে পড়ে। এ উদ্যানের আরকেটি সহজ প্রবেশ পথ হিমছড়িতে। এখানে পাহাড়ি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে একই সঙ্গে বন আর সমুদ্রের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের অন্যতম আকর্ষণ হলো হিমছড়ি জলপ্রপাত। এখানকার জলপ্রপাতটির হিম শীল ধারা প্রায় সারা বছরই বহমান থাকে। তবে বর্ষায় যেন প্রাণ ফিরে পায় ঝর্নাটি। হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্রটি হাতের বাঁয়ে রেখে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সামান্য পথ চললেই এ ঝর্নাটি। এ জায়গাটি সবসময়ই পিচ্ছিল থাকে বলে সাবধানে পথ চলতে হবে। ব্যাটারি চালিত রিকশায় গেলে যাওয়া-আসার ভাড়া পড়বে ৪০০-৬০০ টাকা। 
Himsori
কীভাবে যাবেন :
হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানে ভ্রমনে গেলে আগে আসতে হবে কক্সবাজার শহরে। সড়কপথে ও আকাশপথে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার আসা যায়। এ পথে গ্রিণ লাইন, সৌদিয়া, সোহাগ, হানিফ, টিআর ইত্যাদি পরিবহন সংস'ার তাপনিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল বাস চলাচল করে। ভাড়া ১১৫০ টাকা ১৫৫০ টাকা। এ ছাড়া এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী, ইউনিক, ঈগল, হানিফ ইত্যাদি পরিবহনে নন-এসি বাসও চলে এ পথে। ভাড়া ৬০০-৭৫০ টাকা। এ ছাড়া ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমান, ইউনাইটেড এয়ার, জিএমজি এয়ার ও রিজেন্ট এয়ারের বিমানে সরাসরি যেতে পারনে কক্সবাজার। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যেতে ব্যাটারি চালিত রিকশায় সময় লাগবে এক ঘন্টার মতো। ভাড়া পড়বে ১৫০-২৫০ টাকা।

কোথায় থাকবেন :
কক্সবাজারে থাকার জন্য এখন প্রচুর হোটেল রয়েছে ধর অনুযায়ী এ সব হোটেলের প্রতি দিনের কক্ষ ভাড়া ৫০০-২০,০০০ টাকা। পাঠকদের সুবিধার জন্য নিচে কয়েকটি হোটেলের ফোন নম্বর দেওয়া হলো।
কক্সবাজারে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের রয়েছে হোটেল শৈবাল, ফোন : ৬৩২৭৪
মোটেল উপল, ফোন : ৬৪২৫৮
মোটেল প্রবাল, ফোন : ৬৩২১১
মোটেল লাবনী, ফোন : ৬৪৭০৩
পর্যটন কর্পোরেশনের ঢাকাস' হেড অফিস থেকেও এসব হোটেলের বুকিং দেওয়া যায়। যোগাযোগ : ৮৩-৮৮, মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা, ফোন : ৯৮৯৯২৮৮-৯১। এ ছাড়া অন্যান্য হোটেল হলো-
হোটেল সি গাল (পাঁচ তারা), ফোন : ৬২৪৮০-৯১, ঢাকা অফিস-৮৩২২৯৭৩-৬
লংবিচ হোটেল (পাঁচ তারা), ফোন : ৫১৮৪৩-৬
হোটেল কক্স-টুডে (পাঁচ তারা), ফোন : ৫২৪১০-২২
হোটেল ওশান প্যারাডাইস (পাঁচ তারা), ফোন : ৫২৭৩০
হোটেল সি কুইন, ফোন : ৬৩৭৮৯, ৬৩৮৭৮
হোটেল সি প্যালেস, ফোন : ৬৩৬৯২, ৬৩৭৯২
হোটেল সাগর গাঁও লি. ফোন : ৬৩৪৪৫, ৬৩৪২৮
সুগন্ধা গেষ্ট হাউস, ফোন : ৬২৪৬৬
জিয়া গেষ্ট ইন, ফোন : ৬৩৯২৫
হোটেল সি হার্ট, ফোন : ৬২২৯৮
হোটেল ডায়মন্ড প্লেস এন্ড গেষ্ট হাউস, ফোন : ৬৩৬৪২
গেষ্ট কেয়ার লি., ফোন : ৬৩৯৩০
হোটেল প্যানওয়া লি., ফোন : ৬৪৪৩০
কক্সবাজারের এনডব্লিউডি কোড-০৩৪১

ঘুরে আসুন রাঙ্গামাটি

Rangamatti

রাঙ্গামাটি; পার্বত্য এ জেলা শহরটি পর্যটকদের পদচারণায় প্রায় সময়ই মুখরিত থাকে। ভ্রমণ বিলাসী ও সৌন্দর্য্য পিপাসু বহু বর্ণিল অসংখ্য মানুদের উপচেপড়া ভিড় জমে থাকে গোটা রাঙ্গামাটি শহরজুড়ে। এ জেলার নয়নাভিরাম সুবিশাল কাপ্তাই হ্রদ, অসংখ্য পাহাড়, পাহাড়ী ঝর্ণা, সুবলংয়ের মনোরম জলপ্রপাত, পর্যটক আকর্ষণীয় এলাকা, ঝুলন- ব্রীজ, ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী, রাজবন বিহার, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানসহ অসংখ্য দর্শনীয় স'ান যা পর্যটকদের উপভোগ্য। ফি বছরই ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যকটরা ভীঁড় জমায় পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে। বিশেষ করে বিদেশী পর্যটকদের আগমনও লক্ষ্যনীয়। যদিও বর্তমানে নিরাপত্তার কারণে অবাধে বিচারণ করতে চাইছেন না অনেক দেশী বিদেশীরা। খাগড়াছড়ি সড়কের গুনিয়াপাড়া থেকে বিদেশী অপহরণের ঘটনায় অনেকের মনেই অজানা বিরাজ করছে।

গোটা শুষ্ক মৌসুমটাই হচ্ছে রাঙ্গামাটি বেড়াতে নিরাপদ সময়। এখানে রয়েছে আনন্দ-উল্লাস তথা ভ্রমণ বিলাসে মেতে উঠার মত বিভিন্ন স্পট, রয়েছে উসৎসবের আমেজ আর দৃষ্টি নন্দন প্রাকৃতিক পরিবেশ। তাই প্রতি বছর বর্ষা শেষেই ভ্রমণ পিয়াসী দেশী বিদেশী পর্যটকরা ভিড় জমান রাঙ্গামাটির এই পার্বত্য জেলায়। প্রায় ৫মাস এখানে ভীঁড় জমে থাকে। বসনে-র উসৎবে মেতে উঠতে রাঙামাটির প্রাকৃতিক পরিবেশ দুনিয়ার আর কোথাও নেই! তাই যে কেউ স্বপরিবারে, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বেড়াতে পারেন পর্যটন শহর এ পার্বত্য জেলা শহরটি। জীবনে অন-ত একবার হলেও আসুন এবং ঘুরে বেড়িয়ে যান নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রকৃতির নিজ হাতে সাজানো পার্বত্য শহর রাঙ্গামাটি।

যেভাবে যাবেন :
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি যেতে সরাসরি চালু রয়েছে সৌদিয়া, চ্যালেঞ্জার, ডলফিন, এস. আলমসহ বিলাসবহুল বাস সার্ভিস। ঢাকার সায়েদাবাদ, কমলাপুর, ফকিরাপুল, মতিঝিল, কলাবাগান প্রতিদিন এমনকি রাতেও ছাড়ে বাসগুলো। চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া যায় খুব সহজে। চট্টগ্রামের মুরাদপুরস' বিশ্বরোডে আছে রাঙ্গামাটির প্রধান বাস ষ্টেশন। যেখান থেকে ছাড়ে বিআরটিসি এবং বিরতিহীন বাস সার্ভিস সমূহ। সৌদিয়া, এস আলম ও চ্যালেঞ্জার বাস পাওয়া যায় চট্টগ্রামের কেসি দে রোড থেকেও। চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটির যেকোন বাসের ভাড়া ১০০ টাকা।

যাওয়ার পথে যা দেখতে পাবেন :
চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে বাসে চড়ার সময় বেতবুনিয়ায় পা বাড়ালেই রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। এ বেতবুনিয়ায় দেশের সর্বপ্রথম উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রটি অবসি'ত। এরপর রানীরহাট বাজার অতিক্রম করে সামনের দিকে তাকালে চোখে পড়বে সুউচ্চ অসংখ্য পাহাড়ের সারি। সামনের দিকে এবং দক্ষিণ-পূর্বে দন্ডায়মান অবস'ায় সবচেয়ে উচু যে পাহাড়টি চোখে পড়বে সেটি ফুরমোন পাহাড়।

যেখানে যেখানে যাবেন :
শহরে বেড়ানো ও দেখার মতো অনেক জায়গা স'াপনা, নির্দশন আছে। এগুলোর মধ্যে কাপ্তাই লেক ভ্রমন, পর্যটন মোটেল, ডিসি বাংলো, ঝুলন- ব্রিজ, পেদা টিংটিং, সুবলং ঝর্না, রাজবাড়ি, রাজবন বিহার, উপজাতীয় জাদুঘর, কাপ্তাই হাইড্রো ইলেক্ট্রিক প্রজেক্ট, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে দূরে কোথাও গেলে সন্ধ্যার আগে ফেরা উচিত।